এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার
পে কমিশনের কাছে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’। তাদের প্রস্তাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সর্বনিম্ন মূল বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেতন কাঠামো নিয়ে পে কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জোটের প্রতিনিধিদল এই ১০ দফা দাবি ও নতুন গ্রেডভিত্তিক বেতন প্রস্তাব তুলে ধরে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোতে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন এবং নিম্নোক্ত হারে মূল বেতনের প্রস্তাব পেশ করেছেন:
গ্রেড প্রস্তাবিত মূল বেতন (টাকা) গ্রেড প্রস্তাবিত মূল বেতন (টাকা)
গ্রেড-১ ১,৫৬,০০০ গ্রেড-৮ ৬২,০০০
গ্রেড-২ ১,৪০,০০০ গ্রেড-৯ ৫৫,০০০
গ্রেড-৩ ১,২৫,০০০ গ্রেড-১০ ৫০,০০০
গ্রেড-৪ ১,১০,০০০ গ্রেড-১১ ৪৫,০০০
গ্রেড-৫ ৯৫,০০০ গ্রেড-১২ ৪০,০০০
গ্রেড-৬ ৮০,০০০ গ্রেড-১৩ ৩৫,০০০
গ্রেড-৭ ৭০,০০০ গ্রেড-১৪ ৩০,০০০
প্রস্তাবে গ্রেড-১৪-এ সর্বনিম্ন মূল বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং গ্রেড-১-এ সর্বোচ্চ মূল বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা করার সুপারিশ করতে পে কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পে স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শিক্ষকদের প্রস্তাবিত ১০ দফা দাবি
বেতন কাঠামোর পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আরও ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
* শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন প্রস্তাবিত নবম গ্রেডে দিতে হবে।
* বাড়িভাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মূল বেতনের ৪০-৭০ শতাংশ হারে দিতে হবে।
* উৎসব ভাতা বা বোনাস মূল বেতনের সমপরিমাণ দিতে হবে।
* বৈশাখী ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ দিতে হবে।
* বিএড আইন বাতিল করতে হবে।
* কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।
* অবসর ফান্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
* শিক্ষক-কর্মচারীদের রেশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
* শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও সুবিধা দিতে হবে।
* সর্বোপরি, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে।
সভায় জোটের প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, মো. মতিউর রহমান, মো. হাবিবুল্লাহ রাজু, মো. শান্ত ইসলাম প্রমুখ।
সব সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার
প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার (১ নভেম্বর) দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপন হবে। এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে সব সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দেয়া এ বাণীতে তিনি বলেন বলেন, ‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়-- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সব সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজটি আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।
‘আমি ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Comments
Post a Comment