সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক সাত দিনের রিমান্ডে
বিচারক হিসেবে 'দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদান'সহ 'জাল রায়' তৈরির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেয়।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো রায় দেওয়ার জের ধরে করা মামলায় কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতিকে রিমান্ডে নেওয়া হলো।
এ দিন সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেই আবেদনের শুনানির জন্য আজ সকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের পরিবর্তে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রায় জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ২৭শে অগাস্ট শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হলে তাকে খুশী করার জরার জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় সংক্ষপ্তি আদেশ পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছিলেন।
গত ২৪শে জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে এ বি এম খায়রুল হককে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ই জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার কাজলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ওইদিন সন্ধ্যায় মি. হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
মি. হক দেশের ঊনবিংশতম প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান। গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে দু'টি মামলা হয়।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের পহেলা অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ই মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পরে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

Comments
Post a Comment