প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অনিশ্চতায় বার্ষিক পরীক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অনিশ্চতায় বার্ষিক পরী
> শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অনিশ্চতায় বার্ষিক পরীক্ষা
আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৩
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অনিশ্চতায় বার্ষিক পরীক্ষা
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : আমার দেশ
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা টানা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে দেশের ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত বন্ধ রয়েছে।
আগামী সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ফলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার আজ রোববার রাতের মধ্যে দাবি পূরণে কার্যকর সিদ্ধান্ত না দিলে সোমবার শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করা হবে।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছি। দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন পাঠদান বন্ধ। রোববারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন ছাড়া আমাদের সামনে কোনো পথ থাকবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এখানে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা এরই মধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।
৯ জেলায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ, উচ্চ ঝুঁকিতে ৩ জেলা৯ জেলায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ, উচ্চ ঝুঁকিতে ৩ জেলা
এর আগে গত ৮–১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধে গত ২৭ নভেম্বর আন্দোলনরত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিপিইর মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন না করার আহ্বান জানান। তবে শিক্ষক নেতারা বলেন, দাবি পূরণের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি: বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ; ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান; শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দিতে হবে।

Comments
Post a Comment