কনের ঋতুস্রাব অবস্থায় বিয়ে কি শুদ্ধ হবে?

 কনের ঋতুস্রাব অবস্থায় বিয়ে কি শুদ্ধ হবে?





বিয়ে নবীদের সুন্নত। এটি নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম। এর মাধ্যমে দুজন অচেনা-অজানা নারী-পুরুষ একই বাহুডোরে আবদ্ধ হন। শুরু হয় নতুন জীবন। এদের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।অনেকে জানতে চান, আকদের তারিখ, বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যায়। সেইমতে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। হঠাৎ কনের ঋতুস্রাব শুরু হলো, এ অবস্থায় আকদ করলে বিয়ে শুদ্ধ হবে কি না।বিয়ের আকদ শুদ্ধ হওয়ার জন্য কনের পবিত্র অবস্থায় থাকা আবশ্যক নয়। কনের ঋতুস্রাব চলাকালীনও বিয়ে পড়ানো যায়। এ অবস্থায় বিয়ের পর বরের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ ও একত্রে অবস্থান জায়েজ। কিন্তু পবিত্র হওয়ার আগে কনে ও বরের শারীরিক সম্পর্ক নাজায়েজ। 


 


পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন,


وَ یَسۡـَٔلُوۡنَكَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ قُلۡ هُوَ اَذًی فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ وَ لَا تَقۡرَبُوۡهُنَّ حَتّٰی یَطۡهُرۡنَ فَاِذَا تَطَهَّرۡنَ فَاۡتُوۡهُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَكُمُ اللّٰهُ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ অর্থ: তারা তোমাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের সাথে মিলিত হও যেভাবে আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের। (সুরা বাকারা: ২যেহেতু বিয়ের পর নতুন বর-কনে পরস্পরের প্রতি বেশি আগ্রহী থাকে এবং এ সময় বিয়ে হলে নিষিদ্ধ সময়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো গুনাহের কাজ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই জরুরি না হলেও অভিভাবকদের উচিত কনের ঋতুস্রাবের স্বাভাবিক সময় সম্পর্কে অবগত হয়ে তার পবিত্র অবস্থায় যেন বিয়ে হয় সেভাবে তারিখ নির্ধারণ করা। এরপরও দুর্ঘটনাবশত ওই সময় ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে সমস্যা নেই।উল্লেখ্য যে, বিয়ের আকদের মজলিসে কনে বা পাত্রীর উপস্থিত থাকা জরুরি নয়। কনের পক্ষ থেকে অভিভাবক বা অন্য কেউ তার অনুমতি নিয়ে এলেই যথেষ্ট। তবে বিয়ের আগে প্রাপ্তবয়স্ক কনের অনুমতি নেয়া জরুরি। কনের সম্মতি ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না। 


 


বুখারি ও মুসলিমে সংকলিত একটি বর্ণনায় এসেছে,

Countdown Timer
00:01


أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏‏لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ ‏أَنْ تَسْكُتَ অর্থ: নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার স্পষ্ট সম্মতি বা নির্দেশনা ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী নারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল! কীভাবে অনুমতি নেবো? নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার চুপ থাকাটাই অনুমতি বলে গণ্য হবে। (বুখারি; মুসলিম)

Comments

Popular posts from this blog

স্বামী যদি স’হবা’সে অ’ক্ষ’ম হয়, তাহলে স্ত্রীর কী করা উ’চিৎ

মায়ের পরকীয়ার ‘শাস্তি’ দিতে একাধিকবার ধর্ষণ, বেধড়ক মারধর করলেন পুত্র!

স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর উচ্চতার তফাৎ কতটা হলে স"হ"বাসে তৃপ্তি হয়