৭ দিনে চুল পড়া বন্ধ ও পাকা চুল কালো করবেন যেভাবে
৭ দিনে চুল পড়া বন্ধ ও পাকা চুল কালো করবেন যেভাবে
সাত পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে পাকা চুল কালো হবে। আপনার দুশ্চিন্তা মুক্ত হবে। এটাও কি সম্ভব?
অসম্ভব। সাত দিনে চুল পড়া বন্ধ ও পাকা চুল কালো করা সম্ভব নয়। কারণ চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর এবং এর জন্য ধৈর্য ও ধারাবাহিকতার প্রয়োজন আছে। তবে পেঁয়াজের রস, রোজমেরি ও কাস্টর অয়েল ব্যবহার করে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা যায়। চুল পড়া কমানো যায় এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা যাএকটি কার্যকর পদ্ধতি হলো— প্রতিদিন রোজমেরি তেল ব্যবহার করা, যা চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।
আপনি চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করেছেন নিশ্চয়ই। নানা রকম কেশসজ্জা করার ইচ্ছাও আছে আপনার। এর জন্য হেয়ার কাটও করাচ্ছেন। তবে চুল যদি নিষ্প্রাণ ও জেল্লাহীন হয়, তাহলে সব চেষ্টাই বৃথা। কেশসজ্জা যতই সুন্দর হোক না কেন, রুক্ষ চুলে তা মানাবে না। চুল উঠে পাতলা হয়ে গেলেও দেখতে ভালো লাগবে না। তাই হাতে সময় থাকতে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।
বিশেষ এই পূজায় ঘন, লম্বা ও জেল্লাদার চুল চাইলে সাত দিন সময় দিতে হবে। ওই সাত দিনে কেশচর্চার সাত রকম পদ্ধতি নিয়ম মেনে চলতে পারলে চুল উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
প্রথম দিন অ্যালোভেরার মাস্ক ব্যবহার করুন। কারণ ভিটামিন ই-তে ভরপুর অ্যালোভেরায় রয়েছে ‘অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল’ উপাদান। এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ও ভিটামিন ই খুসকি দূর করতে, স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুল বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রথম দিন অ্যালোভেরাজেল মাথার ত্বক ও চুলে ভালো করে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে দ্বিতীয় দিন কাঁচা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন। নতুন চুল গজানো কিংবা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধ করার ঘরোয়া টোটকা হচ্ছে পেঁয়াজের রস। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এ কাঁচা পেঁয়াজের রস। ফলে পেঁয়াজের রস মাখলে নতুন চুল গজায়। চুলের ঘনত্ব বাড়ে। দ্বিতীয় দিন পেঁয়াজের রস ভালো করে মাথায় মেখে আধাঘণ্টার মতো রেখে সামান্য গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
তৃতীয় দিন নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। এতে চুল হবে তরতাজা। নারিকেল তেল হালকা গরম করে সেই তেল ভালো করে চুলে মালিশ করুন। এরপর সারা রাত রাখতে পারলে ভালো, না হলে ঘণ্টা দুয়েক পর শ্যাম্পু করে চুল ধুরে ফেলুন।
চতুর্থ দিন চালের পানি ব্যবহার করুন। অল্প চাল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ধোয়া চালের মধ্যে আরও খানিকটা পানি ঢেলে নিন। এবার ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। চাল হাত দিয়ে চটকে নিন। পানি ঘোলা হয়ে যাবে। এবার পাত্রে পানিটা ছেঁকে নিন। চাল ধোয়া পানি তৈরি হলো। এবার চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার মাখার পর শেষবার চুল ধুতে ব্যবহার করুন সেই চাল ধোয়া পানি। তাতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। পানিটা চুলে ঢেলে ধীরে ধীরে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাসাজ করুন। এরপর মিনিট পাঁচেক রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেপঞ্চম দিনে আমলকী-কারিপাতার তেল ব্যবহার করুন। কারণ এ তেল ভিটামিন সি'সমৃদ্ধ। বানিয়ে নিন বাড়িতেই। এক কাপের মতো আমলকী ও তাতে আধাকাপের মতো কারিপাতা দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। এরপর তেল নিয়ম করে মাখলে চুলের পুষ্টিও হবে, বৃদ্ধিও হবে।
ষষ্ঠ দিনে গ্রিন-টি ম্যাজিক ব্যবহার করুন। চুলে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায়। এই আর্দ্রতা ধরে রাখবে গ্রিন-টি ব্যবহার করুন। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়াবে।
সপ্তম দিনে জবাফুলের মাস্ক ব্যবহার করুন। চুল যেমন ঝরছে, ঠিক তেমনই পাকা চুলের সংখ্যাও বাড়ছে। কানের পাশে, সিঁথির দুই পাশে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে পাকা চুল। তা ঢাকতে যথেচ্ছ ডাই ব্যবহার করে চুলের আরও ক্ষতি হচ্ছে। তার চেয়ে বরং জবাফুলের মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা যেমন দূর হবে, ঠিক তেমনই পাকা চুল কালো হবে অচিরেই। ২-৩টি জবাফুল ফুটিয়ে নিতে হবে। যে রস বেরোবে, তার সঙ্গে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ভালো করে চুলে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে ভেষজ কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।লুন।ফেলুন।য়।
Comments
Post a Comment