বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়
বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়
সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
ওবায়েদ পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার লোকজন কেউ তাঁকে ওয়াহেদ পাঠান, কেউ ওবায়দুল পাঠান নামেও চেনেন। ফোনকল রেকর্ডে এ দুটি নামই বারবার এসেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ওবায়েদ পাঠান যাঁকে অস্ত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই যুবক ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ চাঁদা না পেয়ে দুই ব্যবসায়ীকে কোপালো শ্রমিকদল নেতা
ওই যুবকের নাম রিশান আলী (২৪)। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক। তাঁর বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি।
এলাকার একটি বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গত জুলাইয়ে এই রিশান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। এই অস্ত্রের উৎস কী, তা নিয়ে পরদিন রিশানের সহযোগী ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের কথা হয়। ওই ফোনকল রেকর্ড সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ দুই পত্রিকার বিরুদ্ধে ভুয়া ছবি ছড়িয়ে সম্মানহানির অভিযোগ জারার
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইকবাল, জসিম কিংবা আমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রেকর্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন। ফোনকল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কথাটা কিছুদিন আগের। রিশান, আমরুল, ইকবাল—তারা সব একই গ্রুপে চলাফেরা করে। বালু নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে, সেখানে রিশান অস্ত্র দেখায়। বিষয়টা জানতে আমি রিশানের ঘনিষ্ঠ ইকবালের সঙ্গে কথা বলি।’
আরও পড়ুনঃ প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হারুন
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘আমার সঙ্গে রিশানের কখনো দেখা হয়নি। আমি তাকে চিনি না। আমি ফোনকলের ব্যাপারে প্রথম শুনছি। নিজে হাতে অস্ত্র নেড়েও দেখিনি কখনো। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রও নেই।’
সদর থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, তিনি ফোনকলের বিষয়টি জানেন। রিমান্ডে থাকাকালে অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি নিজেও রিশানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে রিশান মুখ খোলেননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুনঃ
Comments
Post a Comment