যেভাবে ঘুমাতে মহানবী (সা.) নিষেধ করেছেন

 যেভাবে ঘুমাতে মহানবী (সা.) নিষেধ করেছেন







মুসলিমদের প্রতিটি কর্ম আল্লাহর ইবাদত। তবে তা হতে হবে ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতি ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক। তখন সবকিছুর মতো ঘুমও ইবাদত-পুণ্যে পরিণত হয়।


নিরাপদ-পরিবশে ঘুমানোর জন্য মহানবী (সা.) তাগিদ দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে নির্দেশনা- কোথায় ও কীভাবে ঘুমালে নিরাপদ থাকা যায়। যেগুলো অনুযায়ী আমল করলে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি রাসুল (সা.)-এর সুন্নত আদায়ের সওয়াবও লাভ হয়।


বিজ্ঞাপন


রাতে ঘুমানোর আগে যেসব বর্জনীয় কাজ রয়েছে, সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ-


রাতের ঘুমে দেরি

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসল্লি ও মুসাফির ব্যক্তি ছাড়া রাত জাগা নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৩৫)


বিজ্ঞাপন


অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,


রাসুল (সা.) এশার নামাজের পর গল্পগুজব ও গভীর রাত পর্যন্ত সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর তাগিদ দিতেন।


(মুসনাদ আবি ইয়ালা, হাদিস : ৪৮৭৯)


তবে গুরুত্বপূর্ণ ও কল্যাণজনক কাজে রাত জাগতে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুল (সা.) মুসমানদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আবু বকরের সঙ্গে রাত জেগে আলাপ করতেন। আমিও তখন তাদের সঙ্গে থাকতাম। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৮১)


তাই কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কারণে রাত জাগতে মানা নেই। তবে অযথা গল্প-গুজব, অহেতুক নেট ব্রাউজিং ও গুরুত্বহীন কাজে সময় নষ্ট উচিত নয়। বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া আবশ্যক।


নির্জন বাড়ি-ঘরে ঘুম

অনেক সময় বাড়ি-ঘর নিস্তব্ধ ও নির্জনতায় ছেয়ে থাকে। এসব ঘরে একাকী ঘুমানো উচিত নয়। তাই জনশূন্য ঘরে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাদিসের নিষেধাজ্ঞা রায়েছে।


আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসুল (সা.) কোনো ঘরে নির্জন রাত যাপন ও একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৫৬৫০)


খোলা আকাশের নিচে

ঘরের বাইরে ও আকাশের নিচে ঘুমাতে মহানবী (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুরূপ ছাদেও ঘুমানো উচিত নয়। হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কেউ যদি রাতে বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমায়, তাহলে (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার ব্যাপারে (আল্লাহর) কোনো দায়িত্ব নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪১)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন,


‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সন্ধ্যাবেলা বাচ্চাদের ঘরের ভেতর রেখো, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। ঘুম যাওয়ার সময় বাতিগুলো নিভিয়ে দাও। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতেযুক্ত প্রতীপ-বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’


(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩১৬)


হাদিস

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.

Countdown Timer
00:01

Comments

Popular posts from this blog

স্বামী যদি স’হবা’সে অ’ক্ষ’ম হয়, তাহলে স্ত্রীর কী করা উ’চিৎ

মায়ের পরকীয়ার ‘শাস্তি’ দিতে একাধিকবার ধর্ষণ, বেধড়ক মারধর করলেন পুত্র!

স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর উচ্চতার তফাৎ কতটা হলে স"হ"বাসে তৃপ্তি হয়