পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কেজিতে বেড়েছে কত টাকা, যা জানা গেল
পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কেজিতে বেড়েছে কত টাকা, যা জানা গেল
ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি এক হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়া এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা।
সালথা উপজেলার নকুলহাটি বাজারের ব্যবসায়ী সজল ব্যাপারী জানান, ‘বর্তমানে বিদেশি পেঁয়াজের আমদানি নেই। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। এ কারণে দাম বেড়েছে।’
নগরকান্দা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চাষীরা এখন পাট জাগ দেয়া, ধোয়া ও পাটের আঁশ শুকানোর কাজে বেশি মনোযোগী। যে কারণে পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজ আসছে কম।’
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন যেভাবে
ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের পেঁয়াজ চাষি মকবুল শেখ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘মৌসুমের সময় পেঁয়াজের দর চাষীরা পাইনি, এখন বড় বড় চাষী ছাড়া কারো হাতে পেঁয়াজ তেমন নেই। যা আছে তা আড়তদারদের কাছে। এখন দাম বেড়েছে, লাভ করছে আড়তদাররা। আমাদের তো যা হওয়ার হয়েছে।’
শনিবার ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার, কানাইপুর, সালথা, বোয়ালমারী ও নগরকান্দার বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে প্রকার ভেদে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায় কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজের এই লাগামহীন দামে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা, সরকার পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের ‘ভাই’ হওয়ার প্রস্তাব, যে কাণ্ড করল প্রেমিকা
ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের পেঁয়াজ কিনতে আসা শিক্ষক হারুনার রশীদ ও এনজিও কর্মী রীনা সাহা জানান, ‘হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম এত বেড়ে যাওয়ায় মাসিক বাজারের বাজেট ঘাটতি পড়েছে আমাদের। পেঁয়াজ মজুতদারি করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত বলে মনে করি।’
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান জানান, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। চলতি মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ। মৌসুমের সময় পেঁয়াজের দর চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পেয়ে ছিল।’
আরও পড়ুনঃ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুত করে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুনঃ
Comments
Post a Comment